এইচএসসি জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা দিয়েছে ডিএমআরসি
- আপলোড সময় : ১৮-১১-২০২৫ ০৩:১৬:২৭ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৮-১১-২০২৫ ০৩:১৬:২৭ অপরাহ্ন
এইচএসসি-২০২৫ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ। গতকাল সোমবার বিকালে যাত্রাবাড়ি থানাধীন কাঠেরপুল (ঢাকা-ডেমরা সড়কের পাশে) এলাকায় কলেজ ভবন চত্তরে ‘এ কে এম ফাউন্ডেশন এবং দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগিতায়’ এ সংবর্ধণা দেয়া হয়।
এদিন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫১৩ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়ে উঠে এক সমৃদ্ধ, আড়ম্বরপূর্ণ ও হৃদয়ছুঁয়ে যাওয়া মিলনমেলা। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। এ কে এম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের কো-চেয়ারম্যান আফরোজা রহমান লতা এবং ডেমরা অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধানশিক্ষক ও শিক্ষকবৃন্দ। এদিন ঢাকা-৪ ও ঢাকা-৫ সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এ মেধাবী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ৯২০ জন এবং সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের ৪২৮ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও এ. কে. স্কুল এন্ড কলেজ, বর্ণমালা আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ডেমরা কলেজ, রঙমালা আকবর মহিলা কলেজ, মান্নান হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ডেমরা আইডিয়াল কলেজ এবং ব্রাইট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীরাও ক্রেস্ট ও অভিনন্দনপত্র প্রদান করা হয়।
এ সময় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লার শিক্ষার প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা, দরদ এবং তাঁর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কৃতিত্ব সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন, এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শক্তি শুধু পাঠ্যপুস্তকে নয়, বরং সেই প্রতিষ্ঠানের মানুষের হৃদয় ও ভালোবাসায় নিহিত। তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হোন কিন্তু ওই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মূর্খ হবেন না। তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে হবে। সভাপরি বক্তব্যে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, আজকের এই মিলনমেলায় আমরা শুধু মেধাবীদের কৃতিত্ব উদযাপন করিনি। বরং এক সঙ্গে গড়ে তুলেছি এমন একটি অনন্য মুহূর্ত, যা হৃদয়ের গভীরতম স্তরকে স্পর্শ করে, মনে করিয়ে দেয় যে শিক্ষা ও পরিশ্রমের আলোই মানুষের সবচেয়ে উজ্জ্বল সম্পদ। যেখানে স্বপ্নের পরিধি সীমাহীন, সেখানে প্রতিটি শিশুর সম্ভাবনা তার নিজস্ব আলোকরেখা বুনে। তিনিব আরও বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে নতুন প্রেরণা দিয়েছে। একইসঙ্গে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গর্বকে আরো উজ্জ্বল করেছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
স্টাফ রিপোর্টার